On BEN NY-NJ-CT June 2022 Event: বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে একটি সন্ধ্যা ও অনুভাবনা

২০২২ সালের ১২ জুন রোববার সন্ধ্যেটা কাটল বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে। পরিবেশ শব্দটির সঙ্গে আমার পরিচয় আর দশজন সাধারণ মানুষের মতোই ছোটবেলা থেকে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই এর তাৎপর্য কতটা গভীর তা অনুভব করতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে দীর্ঘকাল ধরে পরিবেশ ভালো রাখা বলতে নিজেদের বাড়িঘর গুছিয়ে রাখা, বনজঙ্গল সাফসুতরো করা টাইপের ভাবনাসীমায় আবদ্ধ ছিল। সত্যি বলতে কি ঢাকা অনেক পুরোনো নগরী হওয়া সত্ত্বেও এখানেও এতটাই প্রাকৃতিকতা ছিল যে রাস্তা বা দালান নগরীর সবুজতাকে হঠিয়ে দিতে পারেনি। এখানে ওখানে খাল বা জলাশয়ের অভাব ছিল না। মানুষের সহজাত প্রাকৃতিকতার অন্তঃশীল বোধ তখনো এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে আমাদের ছোটবেলায় বিশ্বজুড়ে পরিবেশের বিপন্নতার ন্যূনতম ভাবনাও মনে আসেনি। আসবে কী করে, মানুষের উন্নতি বলতে আমাদের চারপাশের তখনকার যে দর্শনিকতার আধিপত্য তার মর্মে ছিল বনজঙ্গল সাফ করে মানুষ ভূমিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে কিংবা জলাশয় ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ করছে বলে মানুষের উন্নতি হচ্ছে এমন বিবেচনা। এর বিপরীতে রবীন্দ্রনাথের ‘বলাই’ গল্পের ধরনের প্রকৃতিবোধ আমাদের আবেগকে সামান্য স্পর্শ করত মাত্র, কিন্তু এই দুঃখবোধ ছিল অনেকটা এরকম যে, হ্যাঁ গাছপালার প্রতি আমাদের আরেকটু মমতা থাকা ভালো; মনোভাব অনেকটা এমন যেন সম্ভব হলে গাছপালা না কেটে বা কম কেটে দালান কোঠা করাই ভালো। অর্থাৎ তখন মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রার বিপরীতে গাছপালা কেটে পরিবেশ বদলে দেয়ার বিপরীতে একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ পর্যন্তই ছিল আমাদের বেদনাবোধ। তখনো প্রকৃতিকে আমাদের কাছে এতটা পর্যুদস্ত মনে হচ্ছিল না যে সংবেদনশীল মানুষের মন প্রাকৃতিকতার অভাবে এতটা হাহাকার করতে থাকবে। তখনো সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল প্রকৃতির বিরুদ্ধে অভিযান মানেই প্রগতি, সভ্যতার অগ্রযাত্রা।
আবদুল্লাহ আল মুতীর বিপন্ন পরিবেশ (১৯৮৫) কিংবা তোফাজ্জল হোসেনের লেখা বিপন্ন পৃথিবী বিপন্ন জনপদ (২০০১) বইগুলো পরিবেশের সংকট নিয়ে আমার কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বটে, কিন্তু তা যে এত দ্রুত আমাদের জীবনকে ভয়ঙ্করভাবে স্পর্শ করে ফেলবে তা বুঝিনি।
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তাঁর অনাবাসী বাংলাদশি বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন) গড়ে তুললে এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে তাঁর লেখা পড়লে প্রথমে আমি সচেতন হয়ে উঠতে থাকি এ বিষয়ে। কিন্তু তখনো আমার কাছে পরিবেশের গুরুত্ব উপলব্ধ হলেও এটি আমার নিজের চর্চার বিষয় মনে হয়নি। ড. নজরুল ও তাঁর বন্ধুরা তখনো বিদ্যায়তনিক সংস্কৃতিতে প্রসঙ্গটিকে জোরালো করে তোলার চেষ্টা করছিলেন; পরিবেশের সংকট কতটা ভয়াবহ ও কতটা গভীর তা নিয়ে আহরিত জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত-সমাজ গড়ে তোলার পর্যায়ে ছিলেন তাঁরা। ড. নজরুলের নিকটজন বলে এ নিয়ে তাঁদের জ্ঞানচর্চার আঁচ আমিও পাচ্ছিলাম। ফলে ঐ আবহের মধ্য থেকে পরিবেশ নিয়ে আমার আগ্রহও ক্রমশ তীক্ষ্ণতর হয়ে উঠতে লাগল। তাঁদের আয়োজিত সেমিনার সিম্পোজিয়ামে প্রায় নিয়মিতই হাজির হতে থাকলাম। আমার সাহিত্য চর্চার মতোই অনানুষ্ঠানিক ভাবে সাহিত্য চর্চার সমান্তরালে চলতে থাকল পরিবেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টাও।
বাংলাদেশের পরিবেশ সমর্থক শক্তিকে একত্রিত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক বা বেন উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ICBEN) আয়োজনের। এর কাছাকাছি সময় ঢাকা নগরীতে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবে আকস্মিক মৃত্যুসংখ্যা বাড়তে থাকলে তা প্রতিরোধে আমার শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সয়ীদ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এই সূত্রেই তিনি পরিবেশ বিষয়ক সামাজিক আন্দোলনের গুরুত্ব অনুভব করেন এবং তিনিও ক্রমশ তাঁর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই-পড়া আন্দোলনের পাশাপাশি এই আন্দোলনেরও অংশ হয়ে উঠতে থাকেন। প্রায় কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের অগ্রগণ্য কয়েকজন ব্যক্তি যেমন আবুল মাল আবদুল মুহিত, মোজাফ্ফর আহমদ, জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রমুখ পরিবেশ আন্দোলনের গুরুত্ব অনুভব করে এই ক্ষেত্রে সক্রিয় হন।
২০০০ সালে যে ICBEN হয়েছিল তাতে দুদিন ব্যাপী ছিল অনেকগুলো সেমিনার। বেশ কয়েকটাতে উপস্থিত হয়ে মনোযোগ দিয়ে বিশেষজ্ঞদের উৎকণ্ঠ ভাষ্য শুনেছিলাম। সেই সম্মেলনের একটা প্রেক্ষণবিন্দুও রচিত হয়েছিল ‘ঢাকা ঘোষণা’ নামে। শুধু তাই নয়, এই সম্মেলনের সামগ্রিক প্রেক্ষণবিন্দু থেকে এই অন্তর্তাগিদ অনুভূত হয় যে, বাংলাদেশে পরিবেশবাদী একটি সামগ্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এরই পরিণতিতে বাংলাদেশের পরিবেশ-পন্থী সংগঠন এবং ব্যক্তিদের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ-আন্দোলন (BAPA) গঠিত হয়। তখন থেকে বাপা এবং বেন অন্যান্য পরিবেশ-পন্থী শক্তির সাথে একত্রে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছে।
২০০০ সালে যে ICBEN অনুষ্ঠিত হয়েছিল তারই প্রভাবে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করে। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞা এখন প্রায় প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতেই ২০২২ সালের ১২ জুন নিউ ইয়র্ক নগরীর জ্যাকসন হাইটস্থ ছোট্ট মিলনায়তন বাংলাদেশ প্লাজায় বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর নিউ ইয়র্ক-নিউজার্সি-কানেক্টিকাট চ্যাপ্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পরিবেশ: সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও করণীয়’ শিরোনামে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ থেকে আগত ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’-র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এবং ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)’-র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর নব-নির্বাচিত বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এবং বেন-নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, এবং কানেক্টিকাট শাখার উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী। সেদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বৈদ্যুতিন সফ্্টওয়্যারের মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক থেকেই যোগ দেন বাংলাদেশের সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। আর সভাপতি হিসাবে বেন-এর প্রতিষ্ঠাতা-বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ড. নজরুল ইসলাম তো ছিলেনই। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথি বাপা-র সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম এবং হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।
সেদিনের সভায় বাংলাদেশি জনসমাজের উল্লেখযোগ্য সংখক সুধীজনের উপস্থিতি ছিল বলে সবাই ছিলেন বেশ উজ্জীবিত। বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় এতগুলো মানুষের বক্তব্য শুনে বাংলাদশের পরিবেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে যে ধারণা হলো তাতে কেবল বিষণ্নতাতেই আক্রান্ত হলাম।
দিনের অনুষ্ঠানসূচির শুরুর দিকেই সংগঠনটির নব-নির্বাচিত বৈশ্বিক সমন্বয়কারী ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বেন-এর অগ্রযাত্রার রূপরেখা তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট ভাষ্য উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও পরিবেশ-আইনজীবী রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্য শুনে অনুভব করলাম, বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে আশাবাদী হওয়া কঠিন। রিজওয়ানা বললেন, বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণে নাগরিক সংগঠনগুলোর অর্জন খুব একটা বেশি না হলেও এসব সংগঠনই শেষ পর্যন্ত দেশের আমজনতার কাছে পরিবেশ সচেতনতা পৌঁছে দিচ্ছে। যথার্থই তিনি বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষই আমাদের সম্পদ। তাঁরাই দেশকে টিকিয়ে রেখেছেন এবং তাঁরাই ভালো জানেন, বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে কেমন করে এগিয়ে যেতে হয়। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত তাঁরা যা কিছু করেছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য হবার কারণ বাংলাদেশের পরিবেশগত ভারসাম্য আজ সমাজের ক্ষমতাবান ও দায়িত্বশীল মানুষের লোভের কারণে হুমকির সম্মুখীন। এই লোভীদের জন্য নদীবিধৌত বাংলাদেশের নদীর পানি আজ ব্যাবহারের অযোগ্য। নদীর পানি আজ শিল্পবর্জ্য দূষণে বিষাক্ত। তীরগুলো দখলে দখলে স্রোতস্বিনী নদী আজ পরিণত হয়েছে খালে। তিনি বলেন, একটা নদী যখন মরে যায় তখন একটা জনপদ মরে যায়; আমাদেরই অসচেতনতার ফলে সিলেটের জাফলং আজ হারিয়েছে তার সৌন্দর্য, সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। ঢাকা বায়ুদূষণের কারণে যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে তা জানার জন্য আমাদের বিদেশের গবেষণাপত্রের দরকার নেই। নিজেদের যাপিত জীবনের মধ্য দিয়েই আমরা তা টের পাই।
রিভার কিপার আব্দুল করিম কিম তাঁর দীর্ঘ আন্দোলনের প্রতিকূল অভিজ্ঞতার আলোকে আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলেন, মানুষের জন্যই প্রকৃতির সৃষ্টি। অথচ মানুষই প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করছে। বাপা-সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল তাঁর অক্লান্ত আন্দোলন-অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, কায়েমি স্বার্থবাদীদের নির্লজ্জ প্ররোচণায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী উদ্ধার কাজ এমনভাবে চলছে যে অচিরে সব নদীই ক্রমশ খালে পরিণত হবে বা হারিয়ে যাবে। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা-তুরাগ নদীর সীমানা পিলারগুলো নদীর প্লাবনভূমিকে যথাযথ বিবেচনায় না রেখে এমন দুরভিসন্ধিমূলক ভাবে স্থাপন করা হচ্ছে যে, দখলদারেরা অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ সুবিধা পেতে থাকবে। রিভার কিপার তোফাজ্জল সোহেলের বক্তব্যেও পরিবেশ বিরোধী শক্তির বেশি ক্ষমতাবান থাকার কথা উঠে আসে।
সেদিনের আলোচনা থেকে আমার মনে এমন ধারণা স্পষ্ট হলো যে, বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নয়ন ধারার এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যে, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা যেমন জটিল, তেমনই সাহসিকতারও বিষয়। বাংলাদেশ এখন দুই বিপরীতমুখী টানের মাঝখানে পড়ে আছে। এক দিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদশ আজ ভীষণ নাজুক অবস্থায় আছে, অন্য দিকে মধ্যবর্তী আয়ের দেশ হয়ে-ওঠাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অগ্রসরমান অর্থনীতির চাপে নতুন শিল্প উদ্যোগের আয়োজনকেও তীব্রতর করে তুলছে। উন্নয়নের জন্য শিল্প আমাদের না চেয়ে উপায় নেই, কিন্তু সেই শিল্প থেকে সৃষ্ট বর্জ্য যেভাবে অপরিশোধিতভাবে জনবসতি ও প্রকৃতিতে মিশে যাচ্ছে তাতে সামগ্রিকভাবে এই উন্নয়ন মানুষের জন্য কতটা কল্যাণকর হতে পারবে তা নিয়ে না ভাবলে এখন আর আমাদের মোটেই চলবে না।
মধ্য আয়ের দেশে উন্নত হতে হলে পরিবেশ প্রশ্নকে পেছনে ঠেলে দিতে হবে এমন একটা মনোভঙ্গি আমাদের অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট মূল প্রভাবক মানুষের মধ্যে এখনো প্রধানভাবে দেখতে পাই। কিন্তু দ্রুত উন্নতি করতে গেলে যে এ নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী মূল্য দিতে হবে তা নিয়ে ভাবতে গুরুত্ব দিচ্ছি না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির বিকাশে যে গতি আসবার সম্ভাবনা তার সঙ্গে পরিবেশ প্রশ্নকে এখনই কার্যকর ভাবে সমন্বিত না করে নিলে আমাদের যে পরিমাণ মূল্য দিতে হবে তা নিয়ে এখনই না ভাবলে এর পরিণাম যে কী হবে তা ভেবেও বিষণ্নতা কেবলই বাড়তে থাকে। এই উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য নাগরিক সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। কারণ এ ধরনের অন্তর্দৃষ্টি নাগরিক সমাজেই আগে অনুভূত হওয়ার কথা। এই সচেতনতা যে নাগরিক সমাজের নেই তা নয়, এখন কেবল দরকার সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে তাঁদের সুদৃঢ় অঙ্গীকারকে তুলে ধরা এবং সহযোগিতা করা বাস্তবায়নে! নাগরিক-সমাজ কতটা দৃঢ় অঙ্গীকার অনুভব করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়!
 
+ posts

Leave a Comment